প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুঃ
আজ শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বৌদ্ধদের দীর্ঘ তিন মাস ব্যাপী বর্ষাবাস।
এই সময়টাতে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অধিকতরভাবে শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার অনুশীলন এবং উপাসক-উপাসিকারা দান, শীল, ভাবনায় রত থাকার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এটি একটি বিশেষ সময়ও বটে।
শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে তাৎপর্যময় একটি পুণ্যদিবস। । আজকের এই দিনেই রাজকুমার সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, গৃহত্যাগ (মহাভিনিষ্কমণ), বুদ্ধত্বলাভ পরবর্তী সময়ে সারনাথের ঋষিপতন মৃগদাবে পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুদের নিকট তথাগত বুদ্ধের সর্বপ্রথম ধর্মচক্র প্রবর্তনসূত্র দেশনা, শ্রাবস্তীর গম্বন্ড বৃক্ষমূলে যমক প্রতিহার্য ঋদ্ধি প্রদর্শন, মাতৃদেবীকে ধর্মদেশনার জন্য তুষিত স্বর্গে গমনের মত অনন্য ঘটনা সমূহ ঘটেছিল।
অপরদিকে ভিক্ষুরা নিজ নিজ বিহারে আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস যাপনের অধিষ্ঠান করে থাকেন। এসময় ভিক্ষুরা দিকে দিকে বিচরণ থেকে বিরত থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই বর্ষাবাস পালন করেন। যে ভিক্ষু বর্ষাবাস পালন করেন না তিনি কঠিন চীবর লাভের অযোগ্য পাত্র হিসেবে গন্য হন। একইসাথে যে বিহারে কোন ভিক্ষু বর্ষাবাস অধিষ্ঠান তথা যাপন করেন না সেই বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসবও উদযাপন করা যায় না।
বৌদ্ধরা ভোর সকাল থেকে বুদ্ধপূজা দান, সকাল আটটার দিকে অষ্টশীল গ্রহণ, বিকেলে ধর্মদেশনা শ্রবণ, সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।